বিনা মজুমদারের জানাজা ১৫ই এপ্রিল ২০২০।দেহ নদীর জোয়ার ভাটা যেন আজ, শুকিয়ে গেল বীনা মজুমদারের। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকা ভুক্ত পল্লীগীতি সংগীত শিল্পী ছিলেন তিনি। মরনঘাতি, করোনার মুহূর্মুহু থাবায়, মায়ার বাঁধন থেকে মুক্তি নিয়ে চলে গেলেন ফরিদপুরের বীনা মজুমদার। আল্লাহ তাকে বেহেশতের মেহমান বানিয়ে নিন, আমিন। ১৪ই এপ্রিল সকাল আটটায় জ্যামাইকা হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যু এক অমোঘ সত্য। জন্মটা যেমন, সত্যি তেমনি মৃত্যুটাও চিরঅম্লান। মৃত্যু আসবেই যা প্রত্যেকের দুয়ারে এসে ঘন্টা বাজাবে। সকলকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কেউ হয়তোবা আগে না হয় পরে। সবাইকেই একদিন চলে যেতে হবে এই দুনিয়া ছেড়ে পরপারে। পৃথিবীতে মানুষের প্রতি মানুষের মায়া মমতা ত্যাগ ভালোবাসা আবেগ অনুভূতি সবকিছু নিয়েই তো জীবন। এগুলো আছে বলেই জীবনটা এত সুন্দর, অনুভূতিময় । মানুষ চলে যায় রেখে যায় তার কীর্তি। তবে, চলে যাওয়া যদি হয় অসময়ে সেটাই সবচেয়ে কষ্টের। কাছের মানুষের অনাকাঙ্কিত মৃত্যু হৃদয়বিদারক, কষ্টের যা প্রতিনিয়ত কাঁদায়। মৃত্যুর পর সবাই যেখানে যায়, সেখানে মানুষের সেবা পৌছয় না কিন্তু ভালবাসা হয়তবা পৌঁছায়। কবর মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তার পরিণামের কথা। মৃত্যুর পর আপনজনরাই তো কবর খনন করেন। মৃতকে অন্ধকার ঘরে শায়িত করেন। মাটির নিচে রেখে ফিরে আসেন। প্রতিনিয়ত মৃত্যু আমাদের জীবনের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কে কখন চলে যাব আমরা কেউই জানি না। এই জীবন ও মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে মনে হয়, দুনিয়াতে এত লড়াই করে কী হবে? ক্ষমতাতো ক্ষণিকের বিষয়। মানুষ চলে গেলে কোনো কিছুই থাকে না। সবকিছু একজন মানুষের সঙ্গে চলে যায়। আগের দিনে মানুষের মৃত্যুর পর তার কফিনে দামি অলঙ্কার দিয়ে দেওয়া হতো। কেন দেওয়া হতো তা এখনো অপার রহস্য। মৃত্যুকে মেনেই বেঁচে থাকলে সমস্যা কমে যায়। লড়াই থাকে না। যুদ্ধ থাকে না।............তানভীর মাহমুদ। ১৬ই এপ্রিল ২০২০। সংগীতঃ মন আমার দেহ নদী। শিল্পীঃ বীনা মজুমদার। কথা,সুর ও সংগীতঃ সেহেল নিজামী। #বীনামজুমদার #করোনাভাইরাস #সঙ্গীত
Posted by TECH SAVVY on Thursday, 16 April 2020
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks for your valuable Comments.